স্টপেজের দাবিতে ফরিদপুরে ঢাকামুখী চন্দনা কমিউটার ট্রেনের গতিরোধ
রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেন’র গতিরোধ করে ফরিদপুুরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা। ফরিদপুর রেলস্টেশনে স্টপেজ দেওয়ার দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন পালন করা হয়।
রোববার (৫ মে) ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ৫টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি ফরিদপুর পৌঁছালে বিক্ষুব্ধরা ট্রেনটির সামনে অবস্থান নেয় এবং গতিরোধ করে। এ সময় তারা ফুল দিয়ে ট্রেনের চালক, পরিচালকসহ অন্যান্যদের শুভেচ্ছা জানান।
রেলওয়ে সূত্র জানা যায়, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা পথে রোববার থেকে বাণিজ্যিকভাবে নতুন করে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়। তবে মাঝপথে ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো যাত্রাবিরতি না থাকায় এ নিয়ে ফরিদপুরের রেলযাত্রীদের মাঝে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রেলমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিক্ষোভের মুখে এ সময় প্রায় দশ মিনিট ট্রেনটি সেখানে অবস্থান করে। পরে অবস্থানকারীরা সরে গেলে ট্রেনটি ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর আগে সেখানে স্থানীয়দের পক্ষে বক্তব্য দেন রেল আন্দোলন কর্মী আবরার নাদিম ইতু, শরিফ খান, তুহিন বিন আলমগীর, আশিষ কুমার কুন্ডু, সেলিম মিয়া, আলী মকিম, ইকবাল হোসেন, সোহান, আরিফ শেখ, ইকবাল মাহমুদ ইমন প্রমুখ।
বক্তাগণ রেল যোগাযোগ চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের সাফল্যের আরেকটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার সঙ্গে নতুন দুটি কমিউটার ট্রেন চালু। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, ফরিদপুরের ওপর দিয়ে গেলেও ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো স্টপেজ রাখা হয়নি। এতে ফরিদপুরের যাত্রীরা সুলভে ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলো। বক্তাগণ অনতিবিলম্বে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এই চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ দাবি করেন।
এদিকে বিক্ষুব্ধদের অবস্থানের মুখে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের পরিচালক মহিবুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা হয়তো এ বিষয়টি ভেবে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
জহির হোসেন/আরকে