মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিলেন শিক্ষার্থীরা
ফেনীতে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিপাতে লোডশেডিংয়ের কারণে মোমবাতি জ্বালিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎবিহীন অবস্থাতেই দুপুর ১টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে ফেনী সরকারি কলেজ, জয়নাল হাজারী কলেজ এবং সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
জানা যায়, শহরে দুপুর থেকে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিং শুরু হয়। পরে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে অন্ধকার কক্ষে শিক্ষার্থীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষায় বসেন। ভারী বৃষ্টিতে কিছু কক্ষে পানি প্রবেশ করায় ও অন্ধকারে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষার্থী।
ফেনী সরকারি কলেজকেন্দ্রের মেহেদী হাসান নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, কলেজের বাণিজ্য ভবনের ১১৪ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছি। প্রশ্ন দেওয়ার আগেই বৃষ্টির সঙ্গে সব অন্ধকার হয়ে যায়। পরে কক্ষে পানি ঢুকলে অনেক কষ্ট করে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
শুভ দেবনাথ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা শুরুর আড়াই ঘণ্টা পর কর্তৃপক্ষ মোমবাতি দিয়েছে। স্যাররা আগামী পরীক্ষায় কেন্দ্রে যেতে টর্চ লাইট নিতে বলেছেন।
শহিদুল ইসলাম নামে জয়নাল হাজারী কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ৪০-৪৫ মিনিট দেরিতে প্রশ্ন দেওয়া হলেও আমরা পরবর্তীতে সে অনুযায়ী বাড়তি সময় পাইনি। এ ধরনের দুর্যোগে কর্তৃপক্ষের আরও দায়িত্বশীল আচরণ করা প্রয়োজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেনী সরকারি কলেজের এক শিক্ষক বলেন, গত ১৬-১৭ বছরেও পরীক্ষার হলে এমন পরিস্থিতি দেখিনি। এভাবে পরীক্ষা দেওয়া কষ্টকর। কলেজের কিছু ভবনের নিচতলার কক্ষগুলোতে পরীক্ষার আসন না দিলে ভালো হয়।
এ ব্যাপারে জয়নাল হাজারী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কলেজের দুইটি কক্ষে কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে আমরা চার্জার লাইট ও মোমবাতির ব্যবস্থা করেছি। পরীক্ষায় কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দেলোয়ার হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর সহকারী প্রকৌশলী-১ মোহাম্মদ হারুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুর থেকে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ২০টি লাইনে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত দুইটি লাইন স্বাভাবিক করা হয়েছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে মাঠ পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছে।
তারেক চৌধুরী/আরএআর
