কুষ্টিয়ায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে মারধর
কুষ্টিয়া সদরে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু আহাদ আল মামুনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। তাকে মারধর করে অপহরণের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের বড় বাজার বড় স্টেশনের সামনে কবি আজিজুর রহমান সড়কের লিটন খার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মামুনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কারণে আমার ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। আমাকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে অপহরণের চেষ্টা করে তারা। জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। কার নেতৃত্বে এবং কারা এ হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।
তাকে মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে ভিড় করেন স্বজন ও সমর্থকেরা। এ বিষয়ে তার কয়েকজন সমর্থক ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কারণে তার ওপরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। কারা হামলা করেছে সেটি জানি না। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে আহত মামুনের সমর্থক হাদি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বড় স্টেশনের সামনে একদল সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের প্রার্থীর ওপর হামলা করে মারধর করে। এ সময় তাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। কে বা কারা হামলা করেছে এখন বলতে পারব না। পুলিশ তদন্ত করে হামলাকারীদের শনাক্ত করুক। জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে, খবর পেয়ে আহত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মামুনকে দেখতে হাসপাতালে যান কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ, কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে ছুটে আসি এবং তার চিকিৎসায় সহায়তা করি। আমরা তার সাথে কথা বলেছি। উনিসহ ৭/৮ জন ব্যক্তি একসাথে বসে ছিলেন। এ সময় তার ওপর হামলা করা হয়েছে বলে উনি (আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী) জানিয়েছেন। উনি সবাইকে চিনতে পারেননি। উনি দুয়েকজনের নাম বলেছেন। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি।
রাজু আহমেদ/কেএ