কারাগার থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন শামসুল আলম
ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগেরদিন মঙ্গলবার (৭ মে) আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে গেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী। কারাগারে থেকেই ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
বুধবার (৮ মে) রাতে ফরিদপুরের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শামচুল আলম (আনারস) ৩২ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুল হাসান (টেলিফোন) পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩৩ ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ বলেন, জেলার তিনটি উপজেলায় অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ পরিবেশের মধ্য দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনও প্রার্থীর অভিযোগ নেই। প্রতি কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফল কেন্দ্রীয়ভাবে মিলিয়ে এরপর আবার ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ নাসির ও ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত অমিতাভ ও গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।
এর আগে, গত ২২ এপ্রিল ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই বরকত-রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। ওই সম্পূরক অভিযোগপত্রে শামসুলের নাম অর্ন্তভুক্ত হয়।
জহির হোসেন ফরিদপুর/কেএ