জেলা আ.লীগ সভাপতিকে হারিয়ে চেয়ারম্যান হলেন এমপি পুত্র
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর একমাত্র ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী।
বুধবার (৮ মে) রাত ১০ টায় বেসরকারিভাবে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম।
জানা যায়, ৮ মে (বুধবার) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সুবর্ণচর উপজেলায় ৬১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম ও এমপি পুত্র আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী। আট ইউনিয়নের এই উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ২৫ হাজার ১৮৮ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৭৮ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ৬১০ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ৬৪৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৬ হাজার ৯৪৫টি ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ আনারস প্রতীকে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী ৭০৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ী হয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আতাহার ইসরাক সাবাব চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথমে মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার ভোটাররা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন তাই তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। আমার যে স্বপ্ন ছিল সুবর্ণচরের উন্নয়ন। সেই স্বপ্ন আমি বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সুবর্ণচর স্মার্ট উপজেলা হবে। যেহেতু ভোটের ব্যবধান কম তাই আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা প্রার্থীকে নিয়ে উন্নয়ন কাজ করবো। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। জয়-পরাজয় থাকবেই। ফলাফল যেমনই হোক সেটি সবার মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
হাসিব আল আমিন/কেএ