প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ওয়াদুদ, লড়তে হবে ওহিদুজ্জামানকে

সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর। এর ফলে রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মো. ওহিদুজ্জামানকে নির্বাচিত ঘোষণার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে গেছে। এখন ওয়াদুদের সঙ্গে নির্বাচনে লড়তে হবে। ওহিদুজ্জামানকে।
গতকাল সোমবার (১৩ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেওয়ার পর মো. ওহিদুজ্জামানকে মাঠের লড়াইয়ে ফিরতে হচ্ছে।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, ওয়াদুদ মাতুব্বর বর্তমানে সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। নিজ স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থাকায় গত ২৩ এপ্রিল যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আপিল করেন। সেখানেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
এরপর ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। আদালত ওয়াদুদ মাতুব্বরের আবেদন গ্রহণ করে গতকাল সোমবার রুল জারি করেন। আদালতের আদেশের পর এখন আর ওয়াদুদ মাতুব্বরের নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোনো বাধা রইলো না।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, জনগণের জন্যে আমি কাজ করেছি গত ৫ বছর। তারা আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। আমি ভোটের মাঠে লড়ে জিতব।
ওহিদুজ্জামান বলেন, এর আগে এই উপজেলার মানুষের জন্য আমি কাজ করেছি। তারা আমাকে ভালো করেই চেনেন। যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে জনগণ ভুল করবে না।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াছিন কবির বলেন, আইন অনুযায়ী যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষে দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকলে একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনে তথ্য পাঠাতে হয়। আমরা সেটিই করেছি। এখন আদালত থেকে প্রার্থীর প্রার্থিতা ফেরত দিলে সে তথ্যও আমরা নির্বাচন কমিশনে পাঠাই। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে সালথা উপজেলায় নির্বাচন হবে।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান মনোনয়ন দাখিল করেন। ২৩ এপ্রিল যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়ে যায়। তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসক কামরুল আহসানের কাছে আপিল করেন। ২৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসক তার আপিলটি খারিজ করে দেন। এরপর ২ মে তিনি এই সিদ্ধান্তের (প্রার্থিতা বাতিল) বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। তবে সালথায় চেয়ারম্যান পদে ওহিদুজ্জামান একক প্রার্থী হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতীক বরাদ্দ শেষে ২ মে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছিলেন।
জহির হোসেন/আরএআর