গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি-সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা
![গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি-সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2024May/gzls-20240516032452.jpg)
গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ পাঁচ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমিতির অফিস সহকারী মো. সোহাগ বাদী হয়ে গাজীপুরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কায়সারুল ইসলাম শুনানি শেষে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে জিএমপি সদর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবাদীরা হলেন, বারের সাবেক সভাপতি আহসান উদ্দিন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সরকার, কোষাধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান। এছাড়া অর্থ আত্মসাতে তাদের সহযোগী হিসেবে সাবেক লাইব্রেরি সম্পাদক মো. রওশন আলী ও সাবেক মহিলা সম্পাদক কল্পনা আক্তারকেও বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন
আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক কমিটির একাধিক সদস্য জানান, গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাধারণ সদস্যদের সরাসরি ভোটে এক বছর মেয়াদি কমিটি গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সর্বশেষ গঠিত কমিটির মেয়াদ গত বছরের ৩ মার্চ শেষ হয়। কিন্তু ওই কমিটি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী কমিটি গঠনের জন্য যথাসময়ে নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেনি। এছাড়াও মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সমিতির কোষাগার থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে।
পরে আইনজীবী সমিতির সাংবিধানিক সংকট নিরসনে সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমিতির একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় সাবেক সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সদর মেট্রো থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. মো. ওয়াজ উদ্দিন মিয়াকে এবং সদস্য সচিব করা হয় সমিতির সাবেক সভাপতি ও গাজীপুর পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সুলতান উদ্দিনকে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা সকলেই বারের সাবেক সভাপতি/সম্পাদক।
আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াজউদ্দিন মিয়া বলেন, সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এডহক কমিটি তদন্ত করে সাবেক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সমিতির ফান্ড থেকে ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পায়। পরে সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ এবং তাদের সহযোগী হিসেবে লাইব্রেরি ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
শিহাব খান/পিএইচ