বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুন

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও মূল্যবান কাগজপত্র পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালটির নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার পশ্চিমপাশে অবস্থিত স্টোর রুমে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় চিকিৎসাধীন ও চিকিৎসা নিতে আসা রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক রোগী আতঙ্কে দ্রুত হাসপাতাল থেকে নিচে নেমে আসে। এ সময় বিদ্যুৎ ও জেনারেটর বন্ধ থাকায় নয়তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন থেকে সিঁড়ি বেয়ে রোগীদের নিচে নামতে হুলুস্থুল বেঁধে যায়।
ফরিদপুর দমকল বাহিনীর সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে পুরোপুরি আগুন নেভাতে আরও কিছু সময় লাগে।
তিনি আরও বলেন, ওই কক্ষের দরজার চারটি তালা ভেঙে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে হয়। কক্ষের ভেতরে অনেক ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও কাগজপত্র ছিল। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা যায়নি।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ দিলরুবা জেবা বলেন, হঠাৎ করে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে আগুন লাগে। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ধোঁয়ায় অন্ধকার সৃষ্টি হয়। স্টোর রুমটিতে হাসপাতালের ওষুধপত্র, যন্ত্রপাতি, ফ্রিজসহ নানা সরঞ্জাম রয়েছে। দমকল বাহিনী এসে আগুন নেভায়। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মুহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, গত দেড় মাসে ছোট-বড় মিলিয়ে হাসপাতালটিতে তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আমরা আতঙ্কিত। হাসপাতালটি এ অঞ্চলের রোগীদের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের স্থাপনাগত কিছু ত্রুটি রয়েছে। আগুন নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বেগ পেতে হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলব।
জহির হোসেন/এমজেইউ