১০ গ্রামের মানুষের জন্য বাঁশের কালভার্ট

ভাটির জনপদ হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রাম-সংলগ্ন পুঁটিমারা কান্দায় হাওরের গুরুত্বপূর্ণ কালভার্ট গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ওপরে পাঠাতন না থাকায় এখন বাঁশ ফেলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ।
এতে এই কালভার্ট হাওর থেকে ধান পরিবহন করতে মাটিয়ান হাওরের ১০টি গ্রামের জনসাধারণ থেকে শুরু করে কয়েক হাজার কৃষকের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, মাটিয়ান হাওরের শিবরামপুর, শ্রীপুর, তরং, নয়াবন্দ, বেতাগড়াসহ ১০ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক বোরো ফসল রোপণ ও উত্তোলনকাজের জন্য যাতায়াত করে থাকেন বাঁশের এই কালভার্ট দিয়ে। অনেক ভারী পরিবহন ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে থাকে এই কালভার্ট দিয়ে। তবে এটি ভেঙে যাওয়ায় ধান বহন করার ট্রলি, মাড়াই মেশিন, ঠেলাগাড়িসহ কৃষি যন্ত্রপাতি হাওরে নিয়ে আসা যাচ্ছে না। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাওরের কয়েক হাজার কৃষককে।
স্থানীয় কৃষক মরম আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা প্রতিবছর বোরো ফসল উৎপাদন করি এই হাওরে। ফসল কাটা-দাওয়া শুরু হতে না হতেই বাঁশের এ কালভার্টটি প্রতিবছরই আমাদের যাতায়াতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কৃষিকাজ করেই আমরা কোনো রকম জীবিকা নির্বাহ করি। দুই বছর ধরে আমরা এমন দুর্ভোগে আছি, যেন দেখার কেউ নেই।
উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. আলী হোসেন জানান, হাওরের ফসল নিয়ে যাওয়ার জন্য বাঁশ ও মাটি দিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কয়েকবার কাজ করা হয়েছে। মাড়াই করা ধান ট্রলি দিয়ে বহন করা যায় না বাঁশের ওপর দিয়ে। এমনকি ঠেলাগাড়ি দিয়ে ধান পরিবহন করা হলেও বাঁশ ভেঙে যায়। দ্রুত এর সমাধান করার জন্য বলব।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কৃষকদের হাওর থেকে ধান পরিবহন করতে সমস্যা হয় কালভার্টের কারণে। দ্রুত এই কালভার্টটি মেরামত করা হবে।
সাইদুর রহমান আসাদ/এনএ