এমপি আনারের হত্যা মেনে নিতে পারছেন না নেতাকর্মীরা

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ লোকজন। এমপি আনারের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সর্বসাধারণ।
সাত দিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার (২২ মে) কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেন এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ খবর আসার পর নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। গভীর শোক-হতাশায় ভুগছেন সবাই।
সরেজমিনে বুধবার সরকারি ভূষণ স্কুল সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত নেতাকর্মী সড়কে অবস্থান করছেন। কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। কেউ এ হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারছে না। চারিদিকে শুধুই কান্নার শব্দ। বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ছুটে আসেন বাসভবনের সামনে। সবাই অপেক্ষায় আছেন কবে আসবে এমপি আনারের মরদেহ।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। তার হত্যায় যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘কালীগঞ্জ বাসি অভিভাবককে হারিয়ে ফেলেছে। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটি জানি না। তবে যারা হত্যায় জড়িত তাদের শাস্তি চাই।’
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘জনপ্রিয় এমপি ছিলেন আনার। তার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করবেন।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ভাবে আনারের কারো সাথে কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। প্রকাশ্যে কারো সাথে দ্বন্দ্বে জড়াতে দেখিনি। কে বা কারা তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে সেটা সঠিক তদন্তের মাধ্যমেই উদ্ঘাটন হবে।’
চিকিৎসার জন্য গত ১২ মে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় গিয়ে নিখোঁজ হন এমপি আনার। নিখোঁজ হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগর থানায় জিডি করেন এমপি আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। তার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহভাজন ২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তাকে উদ্ধারে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কাজ করছিল বাংলাদেশের পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এসএমডব্লিউ