কুমলাই নদী রক্ষায় রিভারাইন পিপলের ১০ দফা দাবি

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কুমলাই নদী রক্ষার জন্য রিভারাইন পিপল ১০ দফা দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আবেদন করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে রিভারাইন পিপলের কর্মীরা চার পৃষ্ঠার এ আবেদনপত্র বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেনের কাছে তুলে দেন।
আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন রিভারাইন পিপলের পরিচালক ও কুমলাই নদী শাখার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ।
এদিকে আবেদনপত্র দেওয়ার সময় অধ্যাপক ড. তহিন ওয়াদুদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিভারাইন পিপল ক্লাবের আহ্বায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্তসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রোগনির্ণয় কেন্দ্র, সরকারি মহিলা মার্কেট, সেতুবিহীন একাধিক সরকারি পাকা-কাঁচা সড়ক, অনেক বাড়ি, অনেকগুলো দোকান তৈরি করা হয়েছে কুমলাই নদী ভরাট করে। পুকুর এবং আবাদি জমিও অনেকে বানিয়েছেন। নদীটিতে বাড়ির সংখ্যা দেড় শতাধিক, দোকান আছে ত্রিশটির বেশি, একটি মহিলা মার্কেট আছে, স মিল আছে একটি, দুটি স্কুল. দুটি মাদরাসা, একটি ঈদগাহ মাঠ আছে। বাগান ও বাঁশঝাড় মিলে ত্রিশটির বেশি আছে। নদীটির প্রবাহ উৎসমুখ, মিলনস্থল সবটাই বন্ধ।
গত ২ মে নীলফামারীতে কুমলাই নদী রক্ষার দাবিতে রিভারাইন পিপল সংবাদ সম্মেলন করেছে। এর আগে নদীপাড়ে জনসচেতনতামূলক অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে সংগঠনটি।
আবেদনপত্রে আরও বলা হয় ১৯৫০ সালের প্রজাসত্ব আইন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সংশোধিত ভূমি আইন, দেশের সংবিধান এমনকি উচ্চ আদালতের রায় মোতাবেক নদীর জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। নদীর জমি ব্যক্তির নামে লিপিবদ্ধ হওয়া সংবিধান, আইন এবং উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপন্থি।
কুমলাই নদী সুরক্ষায় ১০ দফা দাবি
- নদী থেকে অবৈধ দখলদারের সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হোক।
- সিএস রেকর্ড ও বর্তমান প্রবাহ বিবেচনায় নিয়ে সীমানা চিহ্নিত করা হোক।
- অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদপূর্বক ব্যক্তিমালিকানা বাতিলকরত রেকর্ড সংশোধন করা হোক।
- নদীটির উৎস-মিলনস্থল, দৈর্ঘ্য-প্রস্থ প্রযুক্তির সহায়তায় লিপিবদ্ধ করা হোক।
- বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভ্রান্তি দূরীকরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
- নদীটির পুরনো প্রবাহপথ সচল করা হোক।
- সেতুবিহীন আড়াআড়ি সড়কে নদীর প্রকৃত প্রস্থ অনুযায়ী সেতু স্থাপন করা হোক।
- যে-সব স্থানে সেতু আছে কিন্তু নদীর প্রস্থের চেয়ে ছোট সেগুলোও নদীর মাপ অনুযায়ী করা হোক।
- নদীর ওপর থেকে স্কুল, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ সরকারি উদ্যোগে সুবিধাজনক অন্যত্র স্থানান্তর করা হোক।
- নদী অবৈধ দখল, খাজনা-খারিজ, ক্রয়-বিক্রয়, রেকর্ডভুক্ত করার কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএএ