কেমিক্যাল দিয়ে মিষ্টি তৈরি, বিস্কুটে পোকা কেকে মাছি

হাইড্রোকার্বন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে মিষ্টি। বিস্কুটে পোকা, কেকে মাছি। সব খাবার তৈরি হচ্ছে নোংরা পরিবেশে। উৎপাদিত খাদ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে রঙ। মৌলভীবাজারের কয়েকটি বেকারির দৃশ্য এমন। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে নিত্যদিনের এসব খাবার।
মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজারের পাঁচ বেকারিতে অভিযান চালিয়ে ছয় লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র্যাব।
এ সময় বেকারিগুলোতে গিয়ে চমকে উঠেন র্যাব সদস্যরা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারোজ্জামান। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-৯-এর শ্রীমঙ্গল কমান্ডার মেজর আহমেদ নোমান জাকি।
অভিযানে দেখা যায়, তেলের কড়াইয়ে তেলাপোকা। উৎপাদিত কেক ও বিস্কুটে পোকা-মাছি। মিষ্টিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বাসি শিরা হাইড্রোকার্বন কেমিক্যাল। আবার কোনো হোটেলে রঙ গিয়ে খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে।
সম্রাট বেকারিতে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। এর দায়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
শহরের বড়হাট এলাকায় দেখা যায়, নোংরা পরিবেশে তৈরি খাবার মেঝেতে রাখা হয়েছে। এর দায়ে এই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পশ্চিমবাজার এলাকার আল মদিনা বেকারির তৈরি কেক ও লোপে মাছি-তেলাপোকা পাওয়া যায়। ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
স্বাদের গোডাউনে মিলেছে মরা বিড়াল আর মিষ্টিতে মিলেছে ক্ষতিকারক হাইড্রোকার্বন। এর দায়ে আনন্দ ফুডকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ও স্বাদকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারোজ্জামান বলেন, আমরা আজ পাঁচ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছি। পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ছয় লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এএম