টানা বর্ষণে ‘অন্ধকারে’ হাতিয়া

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে অন্ধকারে রয়েছে হাতিয়াবাসী। সোমবার (২৭ মে) রাত ৯টায় হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খবর নিয়ে জানা যায়, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। এছাড়াও সূর্যের আলো না পাওয়ায় অকেজো হয়ে গেছে সোলার।
জানা গেছে, গতকাল রাত থেকেই হাতিয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। মূল শহর ওছখালীতে মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক থাকলেও তারপর থেকে বেশিরভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা ইউসুফ রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তীব্র ঝোড়ো হওয়া ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এতে হাতিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে সোলার সিস্টেম অকেজো হয়ে গেছে। হ্যারিকেনের আলো দিয়ে জরুরি কাজ করতে হচ্ছে।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহি চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা জোয়ারের পানিতে ডুবে আছি। টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ নেই, সোলার অকেজো হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে চলাচল করা যাচ্ছে না।
হাতিয়া পৌরসভার ওছখালী বাজারের সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বিদ্যুৎসংযোগ পেয়েছি। ফলে জনজীবন কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মোবাইলের নেটওয়ার্ক না থাকায় আত্মীয় স্বজনের খবর নিতে পারছি না।
জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল চলে গেলেও এর কিছু প্রভাব থেকে যায়। দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত হবে। আশা করি, দু এক দিনের ভেতর আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে এবং বৃষ্টিপাত কমে যাবে।
হাতিয়া বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের (বিপিডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাত থেকেই ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পেরেছি। তবে নিঝুমদ্বীপসহ বিভিন্ন দুর্যোগকবলিত স্থানে গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। নিঝুমদ্বীপে প্রায় ৪০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ সরবরাহের সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেখানে বিদ্যুৎ যেতে কম হলেও দুই দিন সময় লাগবে।
হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশীষ চাকমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বিদ্যুৎ সমস্যা হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হোক।
হাসিব আল আমিন/এএএ