সিটি করপোরেশনের ইফতার খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শতাধিক

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) বিতরণ করা ইফতার খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই মহল্লার শতাধিক বাসিন্দা। খবর পেয়ে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) নগরীর আহম্মেদনগর ও ফিরোজাবাদ মহল্লার বাড়ি বাড়ি গিয়ে আক্রান্তদের ওষুধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে নগর সংস্থা।
প্রতি বছরের মতো বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) নগরীর আলিফ-লাম-মিম ভাটার মোড় এলাকায় ৫০০ গরিব, অসহায় ও নিম্নআয়ের ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করে নগর কর্তৃপক্ষ। ইফতারির প্রতি প্যাকেটে ছিল বিরিয়ানি, একটা ডিম, এক টুকরা মাংস ও দুটি খেজুর।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, যারা রাসিকের সরবরাহ করা ইফতার খেয়েছেন, কম-বেশি সবাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকের অবস্থা খারাপ। রাত থেকেই পাড়ার মোড়ের ওষুধের দোকানগুলোতে স্যালাইন কিনতে ভিড় করেন বাসিন্দারা।
পাড়ার মোড়ের দোকানি জুলফিকার রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল থেকে শুধু স্যালাইন আর চিড়া নিচ্ছেন মহল্লার লোকজন। যারাই বৃহস্পতিবার ইফতার খেয়েছেন তারাই স্যালাইন নিয়েছেন।
খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এ পরিস্থিতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার। তিনি বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে এটি হতে পারে। তাছাড়া প্রচণ্ড গরমে খাবার নষ্ট হতে পারে। কখন খাবার রান্না হয়েছে, আর কখন সেটি খেয়েছে মানুষ, তাও দেখার বিষয়।
আক্রান্ত ব্যক্তিদের করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, খাওয়ার স্যালাইন খাবে। বেশি অসুস্থবোধ করলে হাসপাতালে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার ইফতার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামানের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুল ওয়াহেদ খান টিটু।
তিনি বলেন, প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ লোকের জন্য ইফতারি রান্না করে তিন জায়গায় বিতরণ করা হয়। এখন পর্যন্ত কোথাও এ রকম হয়নি। একটা হাঁড়ির বিরিয়ানিতে দুর্ঘটনাবশত কিছু পড়তে পারে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দু-তিনজনের হাসপাতালে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
এ পরিস্থিতিতে নগর কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেবে জানতে চাইলে টিটু বলেন, মেডিকেল টিম নিয়ে ওই দুই মহল্লায় গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রান্নার সময় আরও সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। তাছাড়া কেন এমন ঘটল, তাও খতিয়ে দেখা হবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম