ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে শিশু গুরুতর আহত

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর স্টেশন এলাকায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে শিহাব (১২) নামে এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মোহনপুর স্টেশনের পূর্বপাশে এ ঘটনা ঘটে। তবে ছেলেটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
আহত শিহাব পাবনার চাটমোহর উপজেলার চাটমোহর রেলবাজার এলাকার মৃত আমিন আলীর ছেলে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
উল্লাপাড়া (সদর) ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোছা. বিউটি খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১২ বছর বয়সী এক ছেলেকে এখানে আনা হয়েছিল। বলা হয়েছিল সে ট্রনের ছাদ থেকে পড়ে গেছে। সে গুরুতর আহত অবস্থায় এখানে আসে। এখানে আনার পরই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সে নিজের নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারছিল না। পরে তার পরিবারের একটা ফোন নম্বর বললে সেই নম্বরে কল করে জানানো হয়েছে এবং তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমি ডিউটি শেষ হয়ে যাওয়ায় চলে আসি।
একই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আরেকজন চিকিৎসক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আবু ওয়ারিস সুজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছেলেটির মাথার ভেতরে গুরুতর জখম আছে, এক পায়ের হাড় ভেঙে গেছে ও অন্য পায়ের গোড়ালি থেঁতলে গেছে। প্রচুর রক্তপাত হচ্ছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় পাঠিয়ে দিচ্ছি।
রোগীর সঙ্গে আসা একজনের বরাত দিয়ে বলেন, ছেলেটি নাকি ট্রেনে পানি বিক্রি করতো। চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদ থেকে সে পড়ে যায় বলে আমাদের জানানো হয়েছে। তবে কীভাবে পড়ল তা তারা পরিষ্কার করেননি।
এ ব্যাপারে মোহনপুর স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি শুনেছি ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদ থেকে স্টেশনের পূর্ব পাশে একটা ছেলে নাকি পড়ে গিয়েছে। কিছু লোক নাকি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তবে এ ব্যাপারে তার পরিবার বা অন্য কেউ আমাদেরকে কিছু জানায়নি।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানা পুলিশের ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক মোছা. মর্জিনা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত নই। এ ব্যাপারে এখনো আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। আমি আপনার কাছে শোনার পরে উল্লাপাড়া স্টেশন মাস্টারের সঙ্গেও কথা বলেছি, তিনিও কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর