বর্তমান সরকার প্রধানের ভোটও লাগে না, নির্বাচনও লাগে না : রিজভী

যশোরে আলোচনা সভায় এসে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সরকার প্রধানের ভোটও লাগে না, নির্বাচনও লাগে না। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বঙ্গভবন থেকে শেখ হাসিনা যে তালিকা দেন, সেটাই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিন প্রকাশ করবেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বিধান, এটাই শেখ হাসিনা তৈরি করেছেন। এর বাইরে অন্য কিছু হয় না। তাই প্রধানমন্ত্রীর জনগণের দরকার পড়ে না, বেনজীর-আজিজদের মতো কিছু লোকের দরকার পড়ে।
সোমবার (৩ জুন) বিকেলে শহরের বিডি হল মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান এর ৪৩ শাহাদাৎবার্ষিকীতে জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আলোচনা সভায় অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে নিয়ে শয়নে স্বপনে প্রতিনিয়ত অপ্রচার বিষোদাগার করেন। তাতে জনগণের কিছু আসে যায় না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে কোনো রাজনৈতিক দল বন্ধ করেননি। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তা দিচ্ছেন না। হেরে যাওয়ার ভয়ে তিনি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিচ্ছেন না। আজকে পুলিশের অনুমতি নিয়ে রাজনীতিক দলকে কথা বলতে হয়। আবার সংবাদপত্রগুলো সব কথা ছাপাতে পারে না, ছাপাতে ভয় পায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর যে ইনডেক্স তৈরি করে সেখানে তারা তুলে ধরছে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে স্বাধীনতা কতটা নিচে অবস্থান করছে। অনেক মুক্ত মনের সাংবাদিক আজ সরকারের তৈরি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেড়াজালে কারাবন্দি আছেন। কেবলমাত্র সত্য কিংবা মুক্ত মনে লেখার কারণে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান অতি অল্প সময়ে দেশের জন্য যে অবদান রেখে গেছেন তার বর্ণনা করা বেশ কঠিন। যারা জনগণ, সততা, ন্যায়ের পক্ষে কাজ করেন তারা অল্প সময়ে অনেক কিছু করতে পারেন। জোর করে তাদের ক্ষমতা নিতে হয় না, জোর করে তাদের ক্ষমতায় রাখা যায় না।
অনুষ্ঠিত সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আবুল হোসেন আজাদ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি প্রমুখ।
এ্যান্টনি দাস অপু/এমএএস