৬৫ হাজারে কেনা রাজাবাবুর দাম এখন ৭ লাখ টাকা

আর কয়েকদিন পর ঈদুল আজহা। ঈদে কোরবানিকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রস্তুত করা হয়েছে রাজাবাবুকে। ২০ মণ ওজনের বিশাল এ ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামের মো. আব্দুর রশিদ। তিনি গত ২ বছর ধরে ষাঁড়টি লালনপালন করছেন। সাদা-কালো রঙের সুঠাম দেহের এ ষাঁড়টি দৈর্ঘ্যে ৮ ফুট ও প্রস্থে ৫ ফুট। ষাঁড়টি দাম চাওয়া হচ্ছে ৭ লাখ টাকা।
জানা যায়, রাজাবাবুর মালিক মো. আব্দুর রশিদ পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল গরু লালনপালনের। তাই ২ বছর আগে পশুর হাট থেকে একটি ষাঁড় কিনে লালন-পালন শুরু করেন। পরে তার নাম দেন রাজাবাবু।
আব্দুর রশিদ বলেন, ২০ মণের রাজাবাবুকে ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে বাজার থেকে কিনে আনি। এরপর থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করি। রাজাবাবুর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকে ভুসি, চিটা গুড়, খৈল, ছোলা, ভাত ও কাঁচা ঘাস। প্রতিদিন রাজাবাবুর পেছনে খরচ হয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। এ ছাড়া রাজাবাবুর থাকার জায়গায় ২৪ ঘণ্টায় ফ্যান চালু থাকে। প্রতিদিনই দুইবার গোসল করাতে হয়।
তিনি আরও জানান, রাজাবাবু পরিবারের সকলের খুব আদরের। সন্তানের ন্যায় গরুটিকে লালন-পালন করেছি। ষাঁড়টি খুবই শান্ত প্রকৃতির।মাঝে মাঝে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ পর্যন্ত রাজাবাবুর পেছনে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
রাজাবাবুকে দেখতে আসা আখাউড়া পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা ও তুলাইশিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাজ্জাত হোসেন বলেন, আমার এক ভাই প্রবাসে থাকে। তার এবার বড় গরু কোরবানি দেওয়ার ইচ্ছে আছে। তাই গরুটি দেখতে আসলাম। গরুটি দেখতে সুন্দর। গরুটির ছবি তুলে ভাইয়ের কাছে ছবি পাঠাব। তার পছন্দ হলে দু’একদিনের মধ্যে ক্রয়ের দাম জানানো হবে।
রাজাবাবুর চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুয়েল মজুমদার। তিনি বলেন, এ উপজেলায় অনেক লোক খামার করে উন্নত জাতের গরু লালন-পালন করছেন। পশু মোটা-তাজাকরণে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার বন্ধে খামারগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া রাজাবাবুর মালিকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে সার্বিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মাজহারুল করিম অভি/এএএ