সামনে ঈদ, শ্রমিকদের কথা ভাবেন না কেউ

‘বর্তমানে আমাদের না খাওয়া অবস্থা। পেট পিঠের লগে লাইজ্ঞা গেছে। সামনে একটা ঈদ আইতাছে, পরিবহন শ্রমিকদের কেউ খোঁজ নেয় না। সরকার কিংবা মালিক কেউ-ই আঙ্গর (আমাদের) কথা ভাবে না। তাইলে আমরা কেমনে চলমু?’
কথাগুলো বলেন ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের বাসচালক বাচ্চু মিয়া। করোনা পরিস্থিতিতে চলমান বিধিনিষেধে প্রায় এক মাস ধরে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাচ্চুর মতো এমনই কষ্টে দিন কাটছে অসংখ্য পরিবহন শ্রমিকের।
তারা বলছেন, সবকিছুই চলছে স্বাভাবিক কিন্তু গণপরিবহন চলছে না। এতে শ্রমিকরাও যেমন অমানবিক কষ্টে আছেন তেমনি যাত্রীদেরও বেশি ভাড়ায় বিকল্প যানে যেতে হচ্ছে। কিন্তু গণপরিবহন খুলে দেওয়া হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বাস চালাবেন চালকরা।
গণপরিবহন চালু, সরকারি আর্থিক অনুদান ও টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবিতে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শ্রমিকরা।
রোববার (২ মে) দুপুরে নগরীর বড় বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন। পরে মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বলেন, আমাদের দাবি যদি মেনে নেয় তাহলে সরকারকে সাধুবাদ জানাব। আর যদি না মানা হয় তাহলে আমরাই পুরোপুরি লকডাউন পালন করব। দেশে কিছুই চলতে দেব না। তাই ৪ মে’র মধ্যে সরকার যেন আমাদের দাবি মেনে নেয়।
জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন চানু বলেন, আমি আশা করছি ৫ মে’র আগেই আমাদের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত দেবে। আর যদি এরপর আমাদের পরিবহন বন্ধ রাখে তাহলে আমরা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হব।
তিনি আরও বলেন, কারণ আমাদের পেটে ভাত নাই, পরনের কাপড় নাই। পরিবার চালাতে পারছি না। আমাদের অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে যেন সরকার দ্রুত গণপরিবহন চালু করে দেয়।
উবায়দুল হক/এমএসআর