৩৯ বছর চাকরি শেষে রাজকীয় বিদায় পেলেন এএসআই ইমাম উদ্দিন

দীর্ঘ ৩৯ বছর ৭ মাস চাকরিজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে সুসজ্জিত গাড়িতে চেপে অবসরে গেলেন নোয়াখালীর পুলিশ সদস্য মো. ইমাম উদ্দিন (৫৯)। অবসরে যাওয়ার দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে তাকে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে সদর কোর্ট পুলিশের আয়োজনে আনন্দঘন পরিবেশে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইমাম উদ্দিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বেগমগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম হাজীপুর গ্রামের মৃত সাইদুল হক ছেলে। তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
তিনি ১৯৮৪ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি দীর্ঘ ৩৯ বছর ৭ মাস দেশের বিভিন্ন থানায় দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার চাকরিজীবনের শেষ মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে বিশেষ আয়োজন করেছিল শেষ কর্মস্থল সদর কোর্ট পুলিশের সহকর্মীরা। এসময় সদর কোর্টের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. শাহ আলমসহ কোর্টের অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় তার হাতে উপহার তুলে দেন সদর কোর্টের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. শাহ আলম ও সহকর্মীরা। এরপর সকল পুলিশ সদস্য সারিবদ্ধ হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইমাম উদ্দিনকে বিদায় জানান। এরপর সুসজ্জিত গাড়িতে করে তাকে বেগমগঞ্জ উপজেলার বেগমগঞ্জ পৌরসভার নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়।
সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইমাম উদ্দিনের আত্মীয় মো. জহিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এতো সুন্দর আয়োজন আগে কখনো দেখিনি। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। কোর্ট পুলিশ ও নোয়াখালী জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।
সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইমাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাকরি জীবন শেষে এমন সম্মান আমাকে অনেকদিন বাঁচিয়ে রাখবে। এমন সুন্দর বিদায়ে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমার বলার মতো একটা গল্প হলো। আমার অবসরে যাওয়ার সময় এমন সম্মান প্রদর্শন করার জন্য নোয়াখালী জেলা পুলিশ ও কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টরসহ সকল পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কোর্টের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. শাহ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদায়ী ইমাম উদ্দিন ৩ মাস আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। বিদায় অনুষ্ঠানে তার স্মরণে সহকর্মীরা স্মৃতিচারণ করেন এবং উপহার তুলে দেন। ৩৯ বছর সেবা দিতে পারা অনেক ভাগ্যের বিষয়। তাই গাড়িতে করে বাড়িতে পাঠিয়েছি। বিদায়ী মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ এই আয়োজন করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। আগামীতেও সবার বিদায় বেলায় সুখস্মৃতি হয়ে থাকার মতো এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
হাসিব আল আমিন/এমএএস