অপহরণের ১৩ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার, অপহরণকারী কারাগারে

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় অপহরণের ১৩ দিন পর অপহৃত স্কুলছাত্রীকে (১৪) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী মো. রিফাত হোসেনকেও (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে অপহরণকারী মো. রিফাত হোসেনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
কারাগারে প্রেরণকৃত মো. রিফাত হোসেন চাটখিল পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নুর নবীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ভীমপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় প্রায় মো. রিফাত হোসেন উত্ত্যক্ত করতো। গত ৮ জুন সকালে ভুক্তভোগী স্কুলে যাওয়ার সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। বিষয়টি ভুক্তভোগীর পরিবার না জানতে পেরে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। তারপর গত ১৬ জুন ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে চাটখিল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অপহৃতকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগীর বাবা জয়নাল আবেদীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মেয়েকে তিনবার বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে রিফাতসহ তার ৮ বন্ধু। আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। সর্বশেষ স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে অপহরণ করা হয়। আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ ও হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। এ ঘটনায় বাকি জড়িতদের আইনের আওতায় না আনলে আমাদের বড় ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে আমি পুলিশের সহযোগিতা কামনা করছি।
চাটখিল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলা দায়েরের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় গতকাল ২০ জুন অপহৃতকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপহৃত তরুণী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে এবং অপহরণকারীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
হাসিব আল আমিন/এমজেইউ