হেফাজত তাণ্ডব : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ১ জন গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় মুফতি মো. জুনাইদ কাসেমী (৪৬) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার (২ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার উত্তর অংশের এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন সিআইডির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাহারিয়ার রহমান। তবে কাসেমী হেফাজতে ইসলামের কোনো পদে আছেন কি না― সেটি জানাতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার (৩ মে) বেলা ১১টায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এরপর বিচারক মাসুদ পারভেজ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জুনাইদ কাসেমী কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) কাজী মো. দিদারুল আলম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জুনাইদকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনায় হওয়া মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গত ৩ এপ্রিল জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হামিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৬০০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। সিআইডির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো. জহিরুল হক কবির মামলাটি তদন্ত করছেন।
এর আগে শনিবার (১ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জুনায়েদ আল কাসেমী নামের সদ্য বিলুপ্ত হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতাকে গ্রেফতার করে সিআইডি ঢাকার একটি দল। তখন সিআইডির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালানোর অন্যতম হোতা জুনায়েদ আল কাসেমী।
সিআইডির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাহারিয়ার রহমান বলেন, এই কাসেমী কোন কাসেমী, সেটা নিয়েই আমরা এখন কনফিউশনে আছি। আমরা বিষয়টি যাচাই করছি। আমাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ আছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে জুনাইদ কাসেমী জড়িত।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালান হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। এসব ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল ও আশুগঞ্জ থানায় ৫৫টি মামলা করা হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ৪০৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজিজুল সঞ্চয়/এনএ