‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আদেশের খবর শুনে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে সড়ক ছাড়লেন খুলনার বিএল কলেজের শিক্ষার্থীরা। কোটাবিরোধী আন্দোলন ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা নতুন রাস্তা মোড়ে রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ পালন করেছিলেন।

বুধবার (১০ জুলাই) আদালতের আদেশের খবর শুনে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে সড়ক ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বলেন, রায় স্থগিত করা হয়েছে, সবাই সড়ক ছেড়ে দেন। পরবর্তী কর্মসূচি আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন সকাল ১০টার দিকে খুলনার বিএল কলেজের শিক্ষার্থীরা নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করে। পরে দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজট ছিল। এসময় রেলপথ অবরোধের কারণে খুলনায় আসা ঢাকা-বেনাপোল ট্রেনটি আটকে যায়। 

সকালে বিএল কলেজের শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম বাপ্পী, সোহাগ ও জাহিদ বলেন, আমরা আজকে এক দফা দাবি নিয়ে এখানে এসেছি। আমরা চাকরিতে সব কোটা বৈষম্যের অবসান চাই। কোটা বৈষম্যের অবসান হলে আমরা রাজপথ ছাড়ব। এদেশের ছাত্র সমাজের কোনো আন্দোলনে নেমে ফিরে যাওয়ার নজির নেই। এবারও আমরা খালি হাতে ফিরে যাব না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এদিকে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলেছেন আদালত। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৭ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।

এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এই আদেশের খবর শুনে বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে সড়ক ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা। 

মোহাম্মদ মিলন/আরকে