মায়ের ওপর অভিমান করে ইবি ছাত্রীর আত্মহত্যা

মায়ের ওপর অভিমান করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আদর্শপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম ফাবিহা সুহা (২০)। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আদর্শপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ সেলিমের বড় মেয়ে।
নিহতের স্বজন ও সহপাঠী সূত্রে জানা গেছে, সুহার খালার বিয়েবিচ্ছেদের পর থেকে তার খালাতো বোন তাদের বাড়িতে থাকত। খালাতো বোনকে মা বেশি প্রাধান্য দিত বলে অভিযোগ করতো সুহা। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে সুহার কথা কাটাকাটি হতো।
একই বিষয় নিয়ে শুক্রবার মা তাকে ও তার ছোট বোনকে বকাঝকা ও মারধর করেন। এ নিয়ে বাবা-মায়ের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। শনিবার বিকেলে সুহা ও ছোট বোন বাড়িতে রেখে বাবা-মা তার নানি বাড়ি বেড়াতে যায়। বাড়িতে সুহা ও তার বোন একই কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। সন্ধ্যায় সুহা পাশের কক্ষে গিয়ে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। ওই ছাত্রীর বাবা বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ দেখেন। পরে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে সুহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী মায়ের ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের পরিবার কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের জন্য ডিসি স্যারের কাছে আবেদন করেছিলেন। স্যার অনুমতি দিয়েছেন। কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি) করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। এটা খুবই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। ঘটনাস্থলে বিভাগের শিক্ষকরা গিয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি ও খোঁজ খবর রাখছি।
এসপি