নৌকার এজেন্টের আঙুল কর্তন, আ.লীগ নেতা বহিষ্কার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভা নির্বাচন চলাকালে নৌকা প্রতীকের এজেন্টের আঙুল কর্তন ও দলীয় লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগে নির্বাচিত কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (০৩ মে) ভূঞাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল বাছিদ মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক মো. খাইরুল ইসলাম তালুকদার বাবলু স্বাক্ষরিত চিঠিতে মো. আনোয়ার হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আনোয়ার হোসেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর।
চিঠিতে বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি ভূঞাপুর পৌরসভা নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী কেন্দ্রের নৌকা প্রতীকের এজেন্ট সূচী বেগম এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য কর্মীদের ওপর নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য অতর্কিত হামলা করেন আনোয়ার হোসেন। সূচী বেগমকে নির্বাচনী বুথ থেকে টেনে বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ডান হাতের বৃদ্ধাঙুল কেটে দেওয়া হয়।
যা বিভিন্ন মিডিয়া ও সংবাদপত্রে প্রচার হয়। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। সে কারণে আনোয়ার হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পরিচয়সহ দলীয় সকল পরিচয় দেওয়া থেকে তাকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে উপজেলার কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছিল। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছিলেন ভোটাররা। নিজের অবস্থা শোচনীয় দেখে লোকজন নিয়ে জাল ভোট দিতে যান কাউন্সিলর প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন।
অপর কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা বাধা দিলে তাতে বিপত্তি দেখা দেয়। পরে শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ। একপর্যায়ে লাঠি হাতে নিয়ে সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেন আনোয়ার হোসেন। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এ সময় নৌকা প্রতীকের এজেন্ট সূচী বেগমের আঙুল কেটে ফেলা হয়।
অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর