জয়পুরহাটে সাবেক যুবলীগ নেতার মৃত্যু, নিহত বেড়ে ২
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় রফিকুজ্জামান রহিম (৫২) নামে আরও একজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল থেকে বগুড়া নেওয়ার পথে রোববার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলায় দুইজন নিহত হয়েছেন।
মারা যাওয়া রফিকুজ্জামান রহিম জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। জেলা শহরের নতুনহাট এলাকায় তার বাড়ি। বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দুপুরে অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নজিবুল সরকার বিশাল (১৮) নামে একজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর এলাকার মজিদুল সরকারের ছেলে। পাঁচবিবির বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন বিশাল।
এর আগে পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী রোববার (৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা শহরের নতুনহাটে জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে তারা অসহযোগ আন্দোলনের মিছিল বের করে প্রধান সড়ক হয়ে জিরো পয়েন্ট-পাঁচুর মোড় যান। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, জেলা শ্রমিক লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পাঁচটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে থাকা স্থানীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদুসহ আওয়ামী লীগের ১৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। এ ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, ছররা গুলি ও টিয়ারশেল ছুঁড়েছে। এতে সাংবাদিক, আন্দোলনকারীসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।
চম্পক কুমার/এমজেইউ