পরিচয়পত্রের মাধ্যমে মরদেহ শনাক্ত, স্বপ্ন শেষ মা শাহিনার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার সাভারে পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সাজ্জাত হোসেন সজলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
সাজ্জাত হোসেন সজল ওই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকার সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন
সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম জানান, গত রোববার (৪ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের এক দফা অসহযোগ আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় সজল। এরপর সজলসহ আরও কয়েকজনের মরদেহ পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। পরে উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর আগুনে ঝলসে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পরিবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখে সজলের মরদেহ শনাক্ত করা হয়। গতকাল রাতে অ্যাম্বুলেন্সযোগে সজলের মরদেহ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় আনা হয়। আজ মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
জানাজায় সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মঈন প্রধান লাবু, সাঘাটা উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জিল্লুর রহমান প্রধান, ৪নং মুক্তিনগর ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মো. শাহ আলম প্রধানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সজল ও তার পরিবার ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় থাকতেন। তার মা শাহিনা বেগম একটি বেসরকারির ক্লিনিকে চাকরি করেন। সেই আয় থেকেই ছেলের লেখাপড়ার খরচ যোগাতেন। ছেলেকে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ছিল।
রিপন আকন্দ/এমজেইউ