ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার কারণে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
এদিন দুপুর পৌনে ২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যানজট কমেনি। তবে যানজট নিরসনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাজ করতে দেখা গেছে।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোরে মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা এবং গজারিয়া অংশে একাধিক গাড়ি বিকল হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া মহাসড়কে ত্রাণবাহী যানবাহনের অত্যধিক চাপ থাকায় স্বল্প সময়ের মধ্যে গজারিয়ার ১৩ কিলোমিটার অংশে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঢাকাগামী লেনে যানজট থাকলেও চট্টগ্রামগামী লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
ফেনী থেকে ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, কী কারণে যানজট হয়েছে তা বলতে পারছি না। তবে পুরো মহাসড়কেই গাড়ি ধীরগতিতে চলেছে। পথে প্রচুর খালি ত্রাণবাহী গাড়ি আছে।
কুমিল্লা থেকে আসা বাসযাত্রী সোহেল রানা বলেন, দাউদকান্দি থেকে যানজটের কবলে পড়েছি। ৮ কিলোমিটার রাস্তা আসতে ৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে। সাধারণ মানুষ এই দীর্ঘ সময় যানজটের মধ্যে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ শেষে প্রচুর মানুষ গাড়ি নিয়ে ঢাকা ফিরছেন। ত্রাণবাহী এই যানবাহনের অত্যধিক চাপে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। আমরা দ্রুত যানজট নিরসনের চেষ্টা করছি।
ব ম শামীম/এফআরএস