ভালুকায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ‘বাজার ইজারা’ লিখে নেওয়ার অভিযোগ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে কাচিনা বাজারের ইজারা এক আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পর উপজেলার কাচিনা বাজারের ইজারা জোরপূর্বক প্রকৃত ইজারাদার ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ফকিরের কাছ থেকে ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখে নেন বাবুল সরকার।
তিনি উপজেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের রাজনৈতিক অনুসারী। এছাড়াও বিএনপি নেতা মিজানের বিরুদ্ধে স্থানীয় একাধিক ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় কাচিনা গতিয়ার বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মনির বলেন, আমাদের রেকর্ড করা জমিতে বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে জোরপূর্বক গাছ লাগাতে এসেছিলেন বিএনপি নেতা মিজান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতা জানান, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ইজারা লিখে নেওয়াসহ অসংখ্য বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইজারা লিখে নেওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে এর আগেও তিনি দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন।
এসব বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ইজারা লিখে নেওয়ার ঘটনাটি আমিও শুনেছি। মূলত ইজারাদার শফিক ফকির ৫ আগস্টের পর তার আত্মীয় বাবুল সরকারকে বাজারের ইজারা লিখে দিয়েছে, সেও বিএনপি করে। এতে আমি জড়িত নই। আর গাতিয়ার বাজার এলাকায় গাছ লাগাতে গিয়েছিল প্রশাসন। তখন সেখানে আমি এলাকাবাসীর পক্ষে কথা বলেছি। এতে কেউ অখুশি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ২০১১ সালে আমাকে ব্যক্তি আক্রোশে দলীয় গ্রুপিংয়ের জেরে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, এটা ছিল ষড়যন্ত্র। এখন আমি উপজেলা বিএনপির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি।
মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/এসকেডি