ত্বকী হত্যায় একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, দুজনের রিমান্ড
চাঞ্চল্যকর ত্বকী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি শাফায়েত হোসেন ও মামুন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালতে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের হাজির করে পুনরায় আরও পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেইসঙ্গে আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ৬ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আরও তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে ত্বকী হত্যায় গ্রেপ্তার কাজল হাওলাদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিকেলে হায়দার আলীর আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ বাবু বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলার আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অনেকের নাম এসেছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের অজানা আরও অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া থেকে সাফায়েত হোসেন শিপন ও কালীরবাজার এলাকা থেকে মামুন মিয়া এবং ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি থেকে কাজল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। পরে ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার আরেক আসামি আজমেরী ওসমানের সাবেক গাড়িচালক জামশেদ শেখকে। জামশেদ শেখ এখনও র্যাবের রিমান্ডে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় সুধীজন পাঠাগারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। পরদিন তার ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়, যেখানে দেখা যায় মেধাবী এ কিশোর পদার্থ বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৯৭ পেয়েছিলেন। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পিএইচ