চট্টগ্রামে পৌঁছেছে ভারতীয় পেঁয়াজ

চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে এসে পৌঁছেছে চার ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ। তবে ভারত থেকে এই পেঁয়াজ আসার খবরে অনেকটা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমদানিকারকরা।
রোববার (৩ জানুয়ারি) পেঁয়াজভর্তি ট্রাকগুলো বন্দরনগরীর ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এসে পৌঁছায়।
পাইকারিতে তুরস্কের ছোট সাদা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকায় ও বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। এ ছাড়া ছোট লাল পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা, দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৫ টাকা, মিসরের পেঁয়াজ ২৯ থেকে ৩০ টাকা ও নিউজিল্যান্ডের পেঁয়াজ ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ফলে পেঁয়াজের দাম ছিল নিম্নমুখী। এ ছাড়া বাজারে আসতে শুরু করেছে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজও। এমন সময়ে ভারতের পেঁয়াজ আসায় আমদানিকারক ও দেশের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
আব্দুল করিম নামের এক আড়তদার বলেন, পাইকারিতে তুরস্কের ছোট সাদা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকায় ও বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। এ ছাড়া ছোট লাল পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা, দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৫ টাকা, মিসরের পেঁয়াজ ২৯ থেকে ৩০ টাকা ও নিউজিল্যান্ডের পেঁয়াজ ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস রফতানি বন্ধ থাকার পর গত ২৮ ডিসেম্বর সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় দেশটি। এরপর শনিবার বিকেল থেকে দেশের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি।
এনএ