জামিনে মুক্তি পেয়ে আদালত চত্বরে বিয়ের পিঁড়িতে ধর্ষক

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করার শর্তে জামিনে মুক্তি পেলেন ধর্ষণ মামলার আসামি। ধর্ষণের মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন রবিউল বেপারী নামের ওই ব্যক্তি।
রোববার (০৩ জানুয়ারি) বিকেলে রবিউলকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা। জামিনে মুক্ত হয়ে আদালত চত্বরে স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করেন রবিউল।
আদালত সূত্র জানায়, মাদারীপুর শহরের বটতলার আবদুর রব বেপারীর ছেলে রবিউলের সঙ্গে শহরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সেই সূত্রে বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন রবিউল। পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে গত ২৫ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন স্কুলছাত্রী। ওই দিনই রবিউলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে কারাগারে ছিলেন রবিউল।
দীর্ঘদিন কারাভোগের পর দুই পরিবারের সম্মতিতে ভুক্তভোগীকে বিয়ে করার শর্তে রবিউলকে জামিনে মুক্তি দেন আদালত। জামিনে মুক্ত হয়ে বিকেলে ১০ লাখ দেনমোহরে স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।
বিয়ে রেজিস্ট্রার নুরুল হক সিকদার বলেন, ১০ লাখ দেনমোহরে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে রবিউলকে বিয়ে দিয়েছি। আদালত চত্বরে তাদের বিয়ে হয়েছে। এখানে অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে ছেলে-মেয়ে বিয়ে করেছে। উভয় পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ধর্ষকের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। জামিনে মুক্তি পেয়ে আদালত চত্বরে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন রবিউল।
এএম