৯০ বছরের বৃদ্ধার পরিবারের খোঁজ মিলল দুদিন পর

ঈদ করতে গাজীপুরে ছোট ছেলে বকুল মিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন ৯০ বছরের বৃদ্ধা সুফিয়া বেগম। ঈদের পরের দিন শনিবার (১৫ মে) সকালে তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্য ছোট ছেলের স্ত্রীকে নিয়ে বের হয়েছিলেন কিশোরগঞ্জের বাস ধরতে। কিন্তু ভুলবশত বকুল মিয়ার স্ত্রী তাকে শেরপুরের বাসে উঠিয়ে দেন। এতে বয়োবৃদ্ধ সুফিয়া চলে আসেন শেরপুর শহরের নবীনগর বাস টার্মিনালে।
অপরিচিত জায়গা, অচেনা শহর দেখে কান্নাকাটি শুরু করেন সুফিয়া বেগম। পরে স্থানীয় বাস হেলপারদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, কিশোরগঞ্জ নয় শেরপুর চলে এসেছেন। এরপর এক অটোচালক সুফিয়ার কান্নাকাটি দেখে তাকে শেরপুর সদর থানায় নিয়ে আসেন।
ঘটনা শুনে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন উনার কাছ থেকে কিছু তথ্য নিয়ে কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর সুফিয়া বেগমের ছবি দেখে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে তার পরিবারের কাছে পৌঁছায় ইটনা থানা পুলিশ।
এবিষয়ে সুফিয়া বেগমের ছেলে দুলাল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা খুব চিন্তাই ছিলাম যে মাকে খুঁজে পাব কি-না। আজ আমি মায়ের সামনে। এজন্য শেরপুর সদর ও ইটনা থানার ওসি সাহেবের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
ছেলেকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে সুফিয়া বেগম জানান, ‘বয়স অনেক হয়েছে। কানে শুনি না, চোখেও খুব একটা দেখি না। হারিয়ে শেরপুর এসে অনেক চিন্তা করছি।’
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সুফিয়া বেগমকে পাওয়ার পর পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরীর দিক নির্দেশনায় কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানায় ওনার ছবিসহ তথ্য চেয়ে বার্তা পাঠাই। এরপর ইটনা থানা থেকে সুফিয়া বেগমের পরিবারের খোঁজ দেওয়া হয়। আমাদের সহযোগিতা করার জন্য ইটনা থানার ওসি মুর্শেদ জামান ও এসআই তারা মিয়াকে ধন্যবাদ।’
জাহিদুল খান সৌরভ/ওএফ