আ.লীগ নেতার হাত-পা ভেঙে ড্রেনে ফেলে দিল প্রতিপক্ষ

বাগেরহাটের শরণখোলায় মিজান ফরাজি (৪০) নামের আওয়ামী লীগের এক নেতার হাত-পা ভেঙে ড্রেনে ফেলে রেখে গেছে প্রতিপক্ষরা। মঙ্গলবার (১৮ মে) রাতে শরণখোলা উপজেলার পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামে হামলার শিকার হন মিজান ফরাজি। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মিজান ফরাজিকে প্রথমে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত মিজান খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামের ইসমাইল ফরাজির ছেলে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিজান ফরাজি বলেন, রাতে আমতলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় আসাদ ফরাজী, স্বপন, রিপন, রাব্বি, শাকিলসহ ১০-১৫ জন আমার ওপর হামলা করে। পিটিয়ে আমার হাত-পা ভেঙে ফেলে। একপর্যায়ে পায়ের ভেতর রড ঢুকিয়ে দেয়। পরে মৃত ভেবে আমাকে ড্রেনের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়।
আহত মিজান ফরাজীর বড় ভাই জামাল ফরাজী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে খোন্তাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দীনকে সমর্থন না দেওয়ায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমার ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোনো মানুষ মানুষকে এভাবে মারতে পারে না। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
খোন্তাকাটা ইউপির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দীন বলেন, আমিও শুনেছি ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি পারিবারিক বিরোধের জেরে তার বংশের লোকজনই তার ওপর হামলা চালিয়েছে। এর সঙ্গে আমি বা কোনো ইউপি সদস্য জড়িত নন বলে দাবি করেন তিনি।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত হামলার বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তানজীম আহমেদ/এনএ