মানিকগঞ্জে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি, গ্রেপ্তার ৩
মানিকগঞ্জে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে অন্য ব্যক্তিকে দিয়ে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে তিন পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল আজম লিটন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জেলা পুলিশ লাইনসে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলার দৌলতপুর উপজেলার তালুকনগর এলাকার বাবু খানের ছেলে মো. শামীম খান (১৯), একই এলাকার মতিন খানের ছেলে মো. ইসমাইল খান (১৮) এবং নাজিমুদ্দিনের ছেলে মো. নাজমুল হোসেন(১৮)।
আজ শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করছেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের গত ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য গতকাল শুক্রবার সকালে মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইনসে মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। এ সময় মৌখিক পরীক্ষায় গ্রেপ্তারকৃত ওই তিন প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা। এ সময় তাদের কথাবার্তা অসামঞ্জস্য মনে হলে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত তিন প্রার্থী তাদের লিখিত পরীক্ষায় অন্য কেউ প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন সদর থানার এসআই শফিকুল আজম লিটন।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় আসামি শামীম খান ১০ লাখ টাকার চুক্তি করেন আসামি মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দেন। আর মো. ইসমাইল খান আসামি মো. নজরুলের সঙ্গে ১০ লাখ টাকার চুক্তি করেন এবং অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দেন। এ ছাড়া আসামি মো. নাজমুল হোসেন ১৬ লাখ টাকার চুক্তি করেন নজরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম ওরফে ইনজালের সঙ্গে আর অগ্রিম দেন ২০ হাজার টাকা। গ্রেপ্তার শামীম, ইসমাইল ও নাজমুলের লিখিত পরীক্ষা দেন অজ্ঞতা ব্যক্তিরা। লিখিত ও ভাইভায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কনস্টেবল পদে পুলিশ বাহিনীতে চাকরির জন্য চূড়ান্ত হলে চুক্তি অনুযায়ী চক্রটিকে সব টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আমানুল্লাহ বলেন, নিয়োগ বোর্ডের একজন পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
সোহেল হোসেন/এমজেইউ