চিকিৎসার নামে অচেতন করে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ
![চিকিৎসার নামে অচেতন করে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2024December/savar-20241207204730.jpg)
সাভারে প্রমোদ চক্রবর্তী (৪৬) নামে এক কথিত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তরুণীকে (২২) অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সাভার মডেল থানায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী এ অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত প্রমোদ চক্রবর্তী মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার হেলাচিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সাভার পৌর এলাকার বাজার রোড মহল্লার অগ্রণী ব্যাংক ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। এছাড়াও ওই ভবনে তার ফ্ল্যাটেই কাঁশবন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। বাসায় রোগী দেখেন এবং নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী সাভার পৌর এলাকার বাজার রোড মহল্লার অগ্রণী ব্যাংক ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় কাঁশবন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন। সেখানে প্রায় তিন মাস আগে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেসময় কথিত চিকিৎসক প্রমোদ ওই তরুণীকে তিন মাসের জন্য ওষুধ সেবন ও ইনজেকশন নেওয়ার পরার্মশ দেন। ভুক্তভোগী তরুণী প্রমোদের কথা মতো তিন মাস ওষুধ সেবন করেন। গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাঁশবন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি একটি কক্ষে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া প্রমোদের মাধ্যমে একটি ইনজেকশন নেন তিনি। এরপর ওই তরুণী অচেতন হয়ে পড়েন। কিছু সময় পরে জ্ঞান ফিরলে বিবস্ত্র অবস্থায় নিজেকে দেখতে পান এবং ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন।
তবে অভিযুক্ত প্রমোদ চক্রবর্তী বলেন, মেয়েটি আমাদের এখানে অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার পদে চাকরি করে। প্রায়ই ওই মেয়ে অসুস্থ থাকতো, তার পেটে ব্যথা ও দুর্বল থাকতো। তাই তাকে কিছু ভিটামিনের ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও সেদিন ভাইডালিন নামে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। মূলত ইনজেকশনটি ওই মেয়েই কিনে এনেছিল। শুধু আমি দিয়ে দিয়েছি। তারপর সে বাসায় চলে গেছে। পরদিন তাকে অফিসের আসার জন্য ফোন দিলে সে অসুস্থ বলে জানায়। কিন্তু শুক্রবার একটি মিথ্যা কথা জানতে পারি। আমার কাছে লোন নিয়ে না দেওয়ার জন্যই এমন অভিযোগ করেছে সে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুক্তভোগী তরুণী দুপুরে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লোটন আচার্য্য/আরএআর