কর্মচারীর আমন্ত্রণে লক্ষ্মীপুরে সৌদি নাগরিক
বাংলাদেশি দুই সহোদর কর্মচারীর কাজে মুগ্ধ সৌদি আরবের নাগরিক হাবিব হাসান। এজন্যই সুদূর সৌদি থেকে কর্মচারী সবুজ মিজি ও শাওন মিজির লক্ষ্মীপুরের বাড়িতে ছুটে এসেছেন তিনি।
বেড়াতে এসে এই দেশের সংস্কৃতি ও আতিথেয়তায় তিনি মুগ্ধ। সৌদি মালিকের আগমনে সবুজ-শাওনের এলাকায় উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকার বাসিন্দা দুই সহোদর সবুজ ও শাওন প্রায় ১৬ বছর আগে ভাগ্য পরিবর্তনে চাকরির সন্ধানে সৌদি যায়৷ সেখানে দীর্ঘদিন একই সাথে কাজ করার সুবাদে সৌদি কফিল (মালিক) হাবীব হাসানের সঙ্গে তাদের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একসময় তার আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেন তারা।
সেই আন্তরিকতার টানেই বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন হাবীব হাসান। সবুজ ও শাওনের আমন্ত্রণে গত ৬ জানুয়ারি ছুটে আসেন সজীব-শাওনের লক্ষ্মীপুরের বাড়িতে। এসেই অংশগ্রহণ করে তাদের বোনের বিয়েতে। সেখানে বাঙ্গালী বিয়ের সংস্কৃতি দেখে তার খুব ভালো লাগে। এছাড়াও লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখছেন তিনি। ঘুরতে গেছেন সিলেট, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন উদ্দেশ্যে।
প্রবাসী সবুজ ও শাওন জানান, দীর্ঘ দিন থেকে হাবীব বাংলাদেশে ঘুরতে আসার আগ্রহ জানিয়েছেন। এখন তাদের ছোট বোনের বিয়ে উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশে আসায় সবাই খুব খুশি।
তাদের স্বজনেরা জানান, সৌদি নাগরিক হাবীব অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ। তিনি এসেই আন্তরিকতা দিয়ে পরিবারের সকলকে আপন করে নিয়েছেন। মনে হচ্ছে তিনি তাদের পরিবারেরই একজন, ভিনদেশি নন।
সৌদি নাগরিক হাবীব হাসান জানান, তার বাংলাদেশে এসে খুব ভালো লাগছে। বিয়েতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশিদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও খাবার তার খুব পছন্দ হয়েছে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এসএমডব্লিউ