নোয়াখালীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, সচেতনতায় বিআরটিএর মাইকিং

মাঘ আসার আগেই বাঘ কাঁপানো শীতের দাপট দেখাচ্ছে পৌষের শেষ সপ্তাহ। নোয়াখালীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শীতের পোশাক পরেও কাঁপছে মানুষ।
এদিকে কুয়াশায় নিরাপদে গাড়ি চালানোর জন্য মোটরযান চালক ও মালিকদের সতর্কতামূলক মাইকিং-লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী হাতিয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিআরটিএ নোয়াখালী সার্কেল এসব কর্মসূচি গ্রহণ করে।
এদিকে জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিনের শুরুতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ভোর থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকায় যানবাহন চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। সড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। কুয়াশা ও শীতের কারণে খেতমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। তারা সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না। শীতের কবলে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের হতদরিদ্র মানুষগুলো। এক টুকরো কম্বলের জন্য চেয়ে আছে সরকারি সহায়তার দিকে।
হাতিয়ার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর ঘাসিয়ার বাসিন্দা ফজলে আজিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুধু বাতাস আর বাতাস। কুয়াশায় কিছুই দেখা যায় না। গরম জামা গায়ে দিয়েও শীতে কাপতাসি। রাইতে ঘুমাইতে কষ্ট হইত। শীতের কাঁপুনি হাড়ে গিয়ে লাগে। মানুষের আয় রোজগারেও এর প্রভাব পড়ছে। শীতে গবাদিপশু এবং ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা তাকাই আছি কখন সরকারি সহায়তা আসবে।
বিআরটিএ নোয়াখালী সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মাহবুব রাব্বানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাতিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন উপজেলায় আমরা কুয়াশায় নিরাপদে মোটরযান চালানোর নিয়মাবলি, ট্রাফিক সাইন/ সিগন্যাল, মোটরযান চালক, যাত্রী, পথচারী ও মোটরযান মালিকদের প্রতি নির্দেশনা, শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন পদ্ধতি ও মোটরযান চালকদের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেছি। পাশাপাশি মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বছর মাইজদীকোর্ট, নোয়াখালী অফিসে রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মাইজদীকোর্ট অফিস কর্তৃক এ বছরে রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও শৈত্যপ্রবাহ আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রচণ্ড শীতে সারা দেশের ন্যায় হাতিয়া উপজেলাবাসীও কষ্ট পাচ্ছেন। শীতে কোনো দুস্থ পরিবার যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য তাদের পাশে শীতবস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছি। দুর্গম চর গুলোতেও শীতার্তদের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
হাসিব আল আমিন/এমএসএ