রাজীবপুরে বাদাম চাষির মুখে হাসি
কুড়িগ্রামের রাজীবপুরের বিভিন্ন চরাঞ্চলে এ বছর ব্যাপক হারে বাদাম চাষ করছে এখানকার কৃষকরা। ফলনও হয়েছে বাম্পার। বাজারে বাদামের দাম ভালো থাকায় খুশি এখানকার চাষীরা।
রাজীবপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাজীবপুর উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে ৬০০ হেক্টরের বেশি জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে।
অনেক চরে জেগে ওঠা বালু মাটিতে বাদাম চাষ উপযোগী। এ অঞ্চলের মানুষজন জীবিকানির্বাহের তাগিদে ফসলের প্রকারভেদ অনুযায়ী বালুর বুকচিড়ে বাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছে। উপজেলার কোদালকাঠি ও মোহনগঞ্জের একটি অংশে বাদাম ব্যাপক পরিসরে চাষ হয়েছে।
বাদাম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর বন্যায় ব্যাপক হারে ভাঙনের ফলে মাটি সরে গিয় জমিতে বালি মাটি হওয়ায় অন্য কোনো ফসল হয় না। তবে কিছু কিছু জায়গায় দোআশ মাটি থাকায় গমের ফলন আসে। ভালো ফসল না হলে বালু মাটিতে বাদাম চাষ ভালো হয়। তবে আগের চেয়ে বর্তমানে বাজারে বাদামের চাহিদা বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা।
কোদালকাটি ইউনিয়নের কৃষক আমিন ও আহাম্মদ আলী বলেন, এবার আমাদের অঞ্চলে বাদামের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। অনেকের বাদাম হয়েছে, তারা বিক্রিও করছে ,দামও ভালো পাচ্ছেন। এ রকম বাজার থাকলে আমরাও লাভ করতে পারব।
রাজীবপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বলেন, রাজীবপুরে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ বেশি হয়েছে, ফলনও হয়েছে বাম্পার। কিছু কৃষক আগাম বাদাম চাষে করে এখন ভালোই লাভবান হচ্ছে। প্রতিমণ বাদাম জমিতে থেকে পাইকাররা ২ হাজার টাকা দরে কিনছেন।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি কয়েকদিন আগে রৌমারী- রাজীবপুর গিয়েছিলাম। ওই এলাকাতে এবার বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাদাম বিক্রি করে এবার কৃষকরা ভালোই লাভবান হতে পারবে।
এমএসআর