দুই মেয়ে নিয়ে বিপাকে সুমি, ভরণপোষণ দেন না কনস্টেবল স্বামী

দুই মেয়ে ও স্ত্রী সুমি আক্তারের ভরণপোষণ দিচ্ছেন না পুলিশ কনস্টেবল স্বামী। কুমিল্লায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মো. সেলিম খান দীর্ঘ এক বছর স্ত্রী ও মেয়েদের ভরণপোষণ তো দূরের কথা খোঁজখবরও নিচ্ছেন না।
এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন সুমি আক্তার। ওই মামলায় সেলিম খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলার পর থেকে কর্মস্থলে গিয়ে কনস্টেবল স্বামীর সন্ধান পাচ্ছেন না সুমি। স্বামীর কর্মস্থলের লোকজন বলছেন সেলিম খান ছুটিতে আছেন। এভাবে বারবার স্বামীর কাছে গিয়ে না পেয়ে ফিরে আসেন সুমি।
সেলিম খান মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুড়িয়া গ্রামের খানবাড়ির মৃত আবু সাঈদ খানের ছেলে। বর্তমানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম কঙ্কাবতী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১১ সালে পারিবারিকভাবে সেলিম খানের সঙ্গে ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামের রশিদ শিকদারের মেয়ে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়।
সুমি আক্তার বলেন, আমাদের বিয়ের ৯ বছর হয়েছে। আমাদের দুটি মেয়েসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে সেলিম খান। নির্যাতনের মধ্যেই আমার দুই সন্তান বড় হয়। গত এক বছর ধরে আমাদের ভরণপোষণ দিচ্ছে না সেলিম খান। শাশুড়ি সালমা বেগম গত অক্টোবর মাস থেকে আমাদের বাথরুমে তালা দিয়ে রেখেছেন। গ্যাসের চুলা খুলে নিয়ে গেছেন। আমি বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে কোনোরকমে খেয়ে না খেয়ে দুই মেয়ে নিয়ে বেঁচে আছি।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে নতুন করে সেলিম নতুন বাড়ি করার জন্য আমার কাছে যৌতুক হিসেবে টাকা চায়। টাকা না দেয়ায় আমার ওপর নির্যাতন চালায় সেলিম।
স্থানীয়রা জানান, সেলিম বাসায় এলেই সুমিকে মারধর করেন। বিয়ের পর থেকে শুনি সেলিম সুমিকে রাখবেন না। অনেকবার সমাধানের চেষ্টা হয়েছে। কিছুই হয়নি। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে হুমকি দেন সেলিম।
জানতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল সেলিম খান বলেন, গত বছরের ২৫ জুন আমি সুমিকে তালাক দিয়েছি। সে আমার স্ত্রী নয়। তার দেনমোহরের টাকা এবং দুই সন্তানের ভরণপোষণ আইনগতভাবে যা হয় তা আমি পরিশোধ করব।
এএম