লক্ষ্মীপুরে জামায়াতের আমিরসহ খালাস পেলেন ৩৭ আসামি

লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়াসহ ৩৭ জনকে পুলিশের দায়েরকৃত পেট্রল বোমা হামলার মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও জজ আদালত-১ এর বিচারক ফারজানা আক্তারের আদালত এ রায় দেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আহমেদ ফেরদৌস মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মহসিন কবির মুরাদ জানান, ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নতুন মহিলা কলেজের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বোমা নিক্ষেপ করা হয়। তখন এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার অভিযোগে সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিঠন মহাজন ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়াসহ ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আলাদা ২টি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে। শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতে অভিযুক্তদের ওপর আনা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়নি। এতে আদালত তাদেরকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, মামলার আসামিরা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। তারা আদালতে প্রত্যেক শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে আসেনি। এতে আদালত সাক্ষীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তাদেরকে পুলিশ ধরে আনার পর তারা সাক্ষ্য দিয়েছে, অভিযুক্তদের কাউকেই তারা চেনেন না, মামলার ঘটনার সম্পর্কেও তাদের কোনো কিছু জানা নেই। এরপর আমরা আবেদনের ভিত্তিতে আদালত তাদের সাক্ষ্য নিয়েছেন। বাদীসহ ১১ জন সাক্ষী সবাই বলেছে ঘটনাটি তারা দেখেননি, ঘটনা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না।
জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, ১০টি বছর মামলার গ্লানি আমাদের টানতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় আমাদের অনেককেই জেল খাটতে হয়েছে। কারাগারে থেকে কষ্ট পেতে হয়েছে। বিগত সরকারের সময় আইন-আদালত তাদের অনুকূলে ও আজ্ঞাবহ ছিল। আজকের আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পেট্রল বোমা হামলায় মো. লিটন নামে এক যুবক মারা যান। নিহত লিটন নাটোর জেলার রসুলঘর গ্রামের বাসিন্দা আবদুর জব্বারের ছেলে। তখন তিনি লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ মজুপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঘটনাটিতে আব্দুল করিম ও মো. আশিক নামে আরও দুইজন দগ্ধ হয়। তারা দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের বাসিন্দা।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর