রংপুরে করোনায় তিনজনের মৃত্যু

রংপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত আরও ৩ জনের মৃত্যু ও নতুন করে ১২ জন পজিটিভ হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ জনে। একই সময়ে রংপুর বিভাগের আট জেলায় নতুন করে আরও ৫০ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন।
এ নিয়ে বিভাগে বর্তমানে ১ লাখ ৩১ হাজার ১৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ হাজার ৬৮৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত রংপুর জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৯৯ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৩ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৯ জন।
এদিকে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার (২৪ মে) বিভাগের আট জেলার ৩৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে নতুন করে ৫০ জন পজিটিভ হয়েছেন। রংপুর বিভাগে সোমবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৮৮ জন। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩৮২ জনে পৌঁছেছে। সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৬০২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগের দিনাজপুুরে ২৭, রংপুরে ১২, লালমনিরহাটে ৫, গাইবান্ধায় ২, কুড়িগ্রামে ২, পঞ্চগড়ে ১ এবং নীলফামারী জেলায় ১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২২ জন। রংপুর জেলায় ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আহাদ আলী ঢাকা পোস্টকে জানান, মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুর পর্যন্ত দিনাজপুুর জেলায় করোনায় ৫ হাজার ৬৯৭ জন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ১৪০ জনে রয়েছে। রংপুর জেলায় ৪ হাজার ৯২৬ জন আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ৯২ জনের।
তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় ১ হাজার ৬৫৯ জন আক্রান্ত ও ৩৯ জনের মৃত্যু, গাইবান্ধা জেলায় ১ হাজার ৭৫১ জন আক্রান্ত ও ২২ জনের মৃত্যু, নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ৫৬৯ জন অক্রান্ত ও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলায় ১ হাজার ২০৭ জন আক্রান্ত ও ২১ জনের মৃত্যু, লালমনিরহাট জেলায় ১ হাজার ৭১ জন আক্রান্ত ও ১৩ জনের মৃত্যু এবং পঞ্চগড় জেলায় ৮৩৮ জন আক্রান্ত ও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রংপুর বিভাগে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ও মৃত্যু দিনাজপুর জেলায়। সম্প্রতি সারাদেশের মধ্যে ৩১ জেলাকে করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ জেলা হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর ও নীলফামারী জেলা রয়েছে। যার মধ্যে রংপুরের অবস্থান ২৭ নম্বরে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর