জিয়াউর রহমানের সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা মানুষ ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় মহান নেতা। শহীদ জিয়া প্রবর্তিত ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার অবিনাশী দর্শন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে টিএমএসএস অডিটোরিয়ামে বগুড়া জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবর রহমান বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্রান্তিকালে বিদ্রোহী কবির ধূমকেতুর মতোই ত্রাতার ভূমিকায় জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটেছিল। তিনি একজন সৈনিক থেকে দেশের ক্রান্তিকালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। জিয়াউর রহমানের সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে ও ঈর্ষণীয়। তার দেশপ্রেমের প্রকৃত উদাহরণই হলো ‘বাংলাদেশ’। তার সততা নিয়ে তার চরম শত্রুও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬টি বছর আওয়ামী লীগ সরকার যে রেকর্ডটি দেশের জনগণকে শুনিয়েছে সেই রেকর্ড ভুয়া এবং মিথ্যা। আমরা রেডিওতে শুনেছি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন মেজর জিয়া। আওয়ামী লীগ যে রেকর্ডটি বাজিয়েছে এই ১৬ বছর সেখানে বলেছে- শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন জিয়া, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। পাকিস্তানি আর্মিদের বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম উই রিভোল্ট বলে যুদ্ধ শুরু করেন। তারপরেই বাংলাদেশি সৈন্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে।
বিশেষ আলোচক নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহা. হাছানাত আলী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতির প্রত্যেকটি ক্রান্তিলগ্নে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সততা দিয়ে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। জিয়াউর রহমানের পরিবার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য, বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
আলোচনা সভায় আর বক্তব্য দেন বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, ভিপি সাইফুল ইসলাম, জয়নাল আবেদিন চাঁন, বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন, বিএমএর সভাপতি ডা. আফজারুল হাবিব রোজ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার,জাহিদুল ইসলাম হেলাল প্রমুখ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা নেতা ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম মামুন, শেখ তাহা উদ্দিন নাহিন, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার, জেলা মহিলা সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার প্রমুখ।
আরএআর