ভবনের নাম পরিবর্তন না করায় ক্ষোভ, উপাচার্যকে স্মারকলিপি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন হল ও মিলনায়তনের নাম পরিবর্তন না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে দ্রুত নাম পরিবর্তন করতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইলের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
জানা যায়, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরপরই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন হল এবং কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনো অগ্রগতি না থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাই দ্রুত নাম পরিবর্তনের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইলের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
আরও পড়ুন
মো. ইসতিয়াক জামিল নামের এক সমন্বয়ক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে হাসিনা নিজ ও নিজের পরিবারের সবার নামে এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ স্থাপনাগুলোর নামকরণ করে তার অনুচরেরা। এ বিষয়গুলো লীগের নেতাকর্মীরা সাপোর্ট দিত তা অস্বাভাবিক না, কিন্তু সুশীল শ্রেণি এই বিষয়কে মেনে নিয়েছিল এবং ক্ষেত্র বিশেষে এ বিষয়কে সেলিব্রেট করত।
তিনি আরও বলেন, হাসিনার এ নামকরণও যে ফ্যাসিজমের অংশ তা এই সুশীল শ্রেণির মস্তিষ্ক হয় প্রবেশ করত না বা তারা সুবিধা লাভের আশায় তা নিয়ে ঝামেলা করতে চাইত না। কিন্তু আজ যখন আমরা এ নামকরণ ফ্যাসিজমকে মুছে দিতে চাচ্ছি, তখন সেই সুশীলরা আবার সরব হয়ে উঠছে। একাত্তর নিয়ে অতি আবেগ দেখানো শুরু করছে। মুজিবের প্রতি বন্দনা শুরু করেছে। অথচ হাসিনার ফ্যাসিজম কায়েমের একমাত্র শক্তি ছিল এই মুজিব। তাই আমরা দ্রুত নাম পরিবর্তন চাই।
মো. মাহমুদুল হাসান আরিফ নামের আরেক সমন্বয়ক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও প্রশাসন গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা চাই দ্রুত নামগুলো পরিবর্তন হোক। না হয় আমাদের আন্দোলন হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল স্মারকলিপি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্মারকলিপি আমি পেয়েছি। তবে বিষয়টা খুব কঠিন বা খুব সহজ নয়। আমরা সামনের সিন্ডিকেট সভায় আলোচনার মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেব।
হাসিব আল আমিন/এসএসএইচ