ঘন কুয়াশায় স্থবির কুড়িগ্রাম

ঘনঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা। ঠান্ডা ও কুয়াশা উপেক্ষা করে কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। টানা তিন দিন ধরে কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মেলেনি। মেঘলা আকাশে ঢাকা ছিল এ অঞ্চল। বিকেল হতেই হিমালয়ের বরফ ছোঁয়া কনকনে ঠান্ডা বাতাসে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষণ সুবল চন্দ্র সরকার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
কুড়িগ্রাম পৌর শহর এলাকার ভ্যান চালক জসিম মিয়া বলেন, ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে সকাল ১০টার আগে বের হতে পারি না। আর এ সময় ভাড়াও কম। আয় রোজগার কমে গেছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আর এম ও ডা. শাহিদ সর্দার বলেন, শীতের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুর ডায়রিয়া। তবে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে শীতার্ত মানুষের মাঝে সরকারিভাবে ৩৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
আরকে