শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের জনজীবন

দেশের উত্তরের সীমান্তঘেষা জেলা কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কয়েকদিন ধরে দিনে ও রাতে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে গোটা জনপদ। ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় শীত বস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের মানুষ।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল শুক্রবার ছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলার ১৬টি ছোটবড় নদী বিধৌত জেলার চর ও দ্বীপচরের এলাকায় নদ-নদীর হিমেল হাওয়ায় কাহিল। চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন। অনেকেই পরিবারের আয় রোজগারের কথা ভেবে শীতের তীব্রতাকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকালে দেরিতে হলেও কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
অন্যদিকে, জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি ও জ্বরসহ শীতের ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখান ইউনিয়নের কৃষক জসিম উদ্দিন (৬০) বলেন, খুব ঠান্ডা বাড়ি থেকে বাইর হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। তার পরেও এসে মাঠে কাজ করছি।
উলিপুর হাসপাতালে আসা ধামশ্রনী ইউনিয়নের চৌমহনী এলাকার মোছা. মমেনা বেগম (৪০) বলেন, ‘দুই দিন থাকি আমার ছেলের ডায়রিয়া হয়েছে, তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, শনিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
এএমকে