৫ ঘণ্টা ধরে বরিশাল নগরভবন ঘিরে রেখেছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা

অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে বরিশাল নগর ভবন ঘেরাও করেছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মিছিলসহকারে এসে নগর ভবনের মূল ভবন আটকে দেন শ্রমিকরা। এখনো (সর্বশেষ বিকেল সাড়ে ৪টা) প্রধান ফটকেই অবস্থান করছেন তারা। এদিকে নগর ভবন ঘেরাও করায় ভেতরে আটকা পড়েন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সেবা প্রত্যাশীরা। যদিও অনেককে দেয়াল টপকে বেড়িয়ে যেতে দেখা গেছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হোসেন ঢালী বলেন, কোনো ধরনের কারণ দর্শানো বা লিখিত নোটিশ না দিয়ে মৌখিক নির্দেশে ১ জানুয়ারি ১৬০ শ্রমিককে আকস্মিক ছাঁটাই করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায় ও বে-আইনি। একদিকে দ্রব্যর্মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অন্যদিকে ষাটোর্ধ্ব শ্রমিকদের সামাজিক কোনো নিরাপত্তা না দিয়ে হঠাৎ করে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ায় তাদের পরিবার-পরিজন অবর্ণনীয় দুর্দশা ও অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে। তাই মানবিক কারণে তাদের কাজে যোগদানে অনুমতি দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
রুহুল আমিন নামে এক শ্রমিক বলেন, স্যারদের কাছে আমরা তো বাড়িগাড়ি চাই না। একটু কাজ করে বেঁচে থাকবো সেটা চাই। বুড়া বয়সে এসে আমাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমাদের আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নাই। আজকে আমরা এসেছি সিদ্ধান্ত নিতে।
আনোয়ার হোসেন নামে আরেক শ্রমিক বলেন, আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে এসেছি। আমরা চাই সিটি কর্পোরেশন থেকে ছাটাইকৃত ১৬০ জন শ্রমিককে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মরত সব শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী স্থায়ীকরণ করতে হবে। সবাইকে পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র, সার্ভিস বুক দিতে হবে। বেতনবৈষম্য চলবে না। প্রাপ্য সব ভাতা পরিশোধ করতে হবে। এ দাবিগুলো মেনে না নিলে সড়ক থেকে আমাদের সরানো যাবে না।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারি বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই এদেরকে ছাটাই করা হয়েছে। আন্দোলনরতদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। তাদের বলা হয়েছে লিখিত দিতে সেটি আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো, কিন্তু তারা আমাদের লিখিত বা মৌখিক কিছু জানায়নি।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএমকে