মনপুরায় ইয়াসের প্রভাবে বাঁধে ভাঙন
ভোলার মনপুরায় ইয়াসের প্রভাবে মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল জোয়ারে নতুন বেড়িবাঁধের ৫০ ফুট ভেঙে যায়। এছাড়াও জোয়ারের তোড়ে ভেঙে গেছে এলজিইডি নির্মিত ৪০ ফুট পাকা সড়ক। এতে উপজেলার সঙ্গে উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে ভাঙা বেড়িবাঁধ ও ভেঙে যাওয়া সড়ক জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে এলাকা। এছাড়াও প্লাবিত হয়েছে নতুন বেড়িবাঁধের বাইরে ১০ গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২০ হাজার মানুষ।
বুধবার (২৬ মে) দুপুর ২টায় জোয়ারের তোড়ে উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের কূলাগাজী তালুক গ্রামে নতুন বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। একই সময়ে উপজেলার সঙ্গে দুই ইউনিয়নের পাকা সংযোগ সড়কটি ভেঙে যায়।
এদিকে উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন চরকলাতলী, চরনিজাম, মহাজনকান্দি ও কাজীরচর এলাকায় ৫-৬ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সমস্ত এলাকার মানুষ ঘরের টিনের চালে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, সোনারচর, চরযতিন, চরজ্ঞান, চরমরিয়ম, মনপুরা ইউনিয়নের কূলাগাজী তালুক, কাউয়ারটেক, আন্দিরপাড়, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলমনগর ও মাস্টারহাটের পশ্চিম পাশের নতুন বাঁধের বাইরে ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও মনপুরা ইউনিয়নে কারিতাসের নির্মিত সাইক্লোন সেন্টার ও অস্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদের নিচে কোমর পানিতে ডুবে গেছে। উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নে কূলাগাজী তালুক গ্রাম-সংলগ্ন ৫০ ফুট নতুন বেড়িবাঁধ জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে। উপজেলার সঙ্গে দুই ইউনিয়নের যোগাযোগের পাকা সংযোগ সড়কটির ৪০ ফুট জোয়ারের পানিতে ভেঙে যায়।
পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, জোয়ার শেষ হলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। জোয়ারের পানিতে নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা জানান, জোয়ারে নিম্নাঞ্চল ৪-৫ ফুট প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গতকাল রাতে শতাধিক পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর
