থানায় সালিসি বৈঠকে মারামারি-ভাঙচুর, আটক ৬

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সালিস বৈঠক চলাকালে বিবাদমান দুইপক্ষ থানার গোলঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে সেনবাগ থানার গোলঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে উভয়পক্ষের ছয়জনকে আটক করে।
জানা যায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা করতে দুই পক্ষ বেছে নিয়েছিল থানাকে। তবে বিরোধ নিষ্পত্তি তো হলোই না, উল্টো বিবদমান দুই পক্ষের মারামারিতে শেষ হয় সালিস বৈঠক। শুধু তাই না, বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের লোকজন থানার গোলঘরেও (থানা চত্বরের বৈঠকখানা) ভাঙচুর চালিয়েছেন।
সূত্র জানায়, বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে সালিস বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের লোকজন বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। এ সময় থানার গোলাঘরের কাচ ভাঙচুর করে তারা। তাৎক্ষণিকভাবে থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষের ছয়জনকে আটক করে। তাদের থানার হাজতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কেশারপাড় ইউনিয়নের উনদনিয়া গ্রামের একটি রাস্তার জায়গা নিয়ে বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে আজ বিকেলে সেনবাগ থানার গোলঘরে সালিস বৈঠকে বসেন থানার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বৈঠকে উভয় পক্ষের সালিশদারেরাও উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল্লাহ আল ফারুক থানার গোলঘরের কাঁচ ভাঙচুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাড়ির রাস্তা নিয়ে বিরোধ মিমাংসার জন্য দুইপক্ষকে নিয়ে থানার গোলঘরে সালিস বৈঠকে বসা হয়েছিল। বৈঠকের এক পর্যায়ের একপক্ষ অপরপক্ষকে ধাক্কা দেয়। এতে গোলঘরের কাঁচ ভেঙে যায়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, কাজটি ঠিক হয়নি। পুলিশ তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানিয়ে দেব।
হাসিব আল আমিন/আরকে