‘বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আমার বাবা লাশ হয়ে ফিরেছে’

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর স্বপন মুন্সি (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চাপড়া পূর্বপাড়া এলাকায় গড়াই নদীতে তার মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তার মুখে জখমের চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ।
নিহত স্বপন মুন্সি কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ধর্মপাড়া এলাকার নাসির মুন্সির ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাপড়া পূর্বপাড়া এলাকায় মাঠের মধ্যে গড়াই নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখতে পান স্থানীয়রা। এসময় তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। তার মুখে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখমন্ডল রক্তাক্ত ছিল। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত স্বপনের ছেলে খাইরুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার সকালে আমার বাবা বাড়ি থেকে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাই। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে আব্বা বলেছিলেন, ‘নন্দলাল পুরে আমার এক বন্ধু আছে। ৩০ বছর পর তার সঙ্গে দেখা হবে।’ তিনি বাড়িতে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতেও বলেছিলেন। কারণ সেই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে আসবেন আমাদের বাড়ি।
কিন্তু বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তিনি। অনেক জায়গায় খোঁজ নিয়েও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন বাবা। আমরা বাবার সেই বন্ধুকে আমরা চিনি না। তার নামও জানি না। কি কারণে, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাও জানি না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হোক।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, স্থানীয়দের খবরে স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মুখে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটা হত্যাকাণ্ড। বিষয়টি তদন্ত দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজু আহমেদ/আরকে