কুয়াকাটায় ২ কিমি যানজট, ভোগান্তিতে পর্যটকরা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিতে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক এসেছেন কুয়াকাটায়। পর্যটকদের বহনকারী বাস, মাইক্রো, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে লম্বা যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের ২ কিলোমিটার অংশজুড়ে রয়েছে যানজট। যানজট নিরসনে রাস্তায় কাজ করছে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কুয়াকাটা বয়েস ক্লাবের সদস্যরা।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লম্বা এ যানজটে ভোগান্তির শিকার হন শত শত পর্যটক। শুধু পর্যটকই নয়, স্থানীয় ব্যবসায়ী, ভ্যানচালকরাও ছিলেন বিপাকে।
অটো ভ্যানচালক আল আমিন বলেন, সন্ধ্যায় কুয়াকাটা-আলীপুর মহাসড়কে যাত্রী নিয়ে কুয়াকাটা চৌরাস্তা থেকে বাস টার্মিনালে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিলে যানজটের কারণে যেতে পারিনি। গাড়িতে থাকা পর্যটকদের বাস ছেড়ে দেওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছিলও তাই হেঁটেই যাত্রীরা চলে গেছে বাস টার্মিনালের দিকে। এরকম যানজট সচরাচর কুয়াকাটা এই রাস্তায় দেখা যায় না। তবে অনেক পর্যটক আশায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকবাহী রিজার্ভ বাসের ড্রাইভার নজরুল ইসলাম বলেন, দুই ঘণ্টা পর্যন্ত রাস্তায় আছি কিন্তু গাড়ি সামনে নিতে পারছি না এত পরিমাণ যানজট। তবে পর্যটন নগরীগুলোতে এরকম যানজট থাকবে এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যানজট নিরসনে আরও সতর্ক অবস্থানে থাকা উচিত বলে মনে করছি।
পুলিশের সঙ্গে যানজট নিরসনে কাজ করা সেচ্ছাসেবী সংগঠন বয়েস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ সাগর বলেন, কুয়াকাটা একটি দেশের জনপ্রিয় পর্যটন নগরী। তারই ধারাবাহিকতায় কুয়াকাটা সব সময় পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে। কিন্তু ২১শে ফেব্রুয়ারি এবং সাপ্তাহিক ছুটির বন্ধে সবকিছু ছাপিয়ে আজ রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক হয়েছে কুয়াকাটায়। আর সেজন্যই মূলত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তাই কুয়াকাটা বয়েস ক্লাবের সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে যানজট নিরসনে কাজ করছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আজকে কুয়াকাটায় পর্যটকদের অনেকটা ভিড় বেড়েছে। সারাদিন আমরা কুয়াকাটার সব দর্শনীয় স্থানগুলোতে দায়িত্ব পালন করেছি এবং সূর্যাস্তের পরে অধিকাংশ পর্যটকবাহী বাস কুয়াকাটা ছেড়ে যাবে, সেজন্য আমরা আগেই রাস্তায় দায়িত্ব পালন করছিলাম কিন্তু এত পরিমাণ পর্যটকদের গাড়ি ছিল, ভোগান্তি সৃষ্টি হয়ে যায়। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই যানজট নিরসন হবে বলে আশা করছি।
এসএম আলমাস/এএমকে